যেসব লক্ষণে বুঝবেন শিশুর নিউমোনিয়া-

. জ্বর ও ক্লান্তি অনুভব করা,
. মাত্রাতিরিক্ত ঘাম ও কাশি হওয়া,
. শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট,
. বুকব্যথা ও শরীরে কাঁপুনি,
. মাথাব্যথা ও শরীরের মাংসপেশি ব্যথা,
. খাওয়ার প্রতি অনীহা ও বমি বমি ভাব।

শিশুকে নিউমোনিয়া থেকে বাঁচাতে করণীয়-

✅ নিউমোনিয়ার কিছু ভ্যাকসিন বের হয়েছে। ভ্যাকসিনগুলো যদি সময়মতো নেওয়া যায়, তা হলে কিছু ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা যায়। তবে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।

✅ শিশুকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর কাছ থেকে দূরে রাখতে হবে। এ ছাড়া হাঁচি-কাশি আক্রান্ত লোকের সামনে থেকে শিশুদের দূরে রাখুন। সবসময় ধুলাবালি থেকে দূরে রাখুন।

✅ শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় রাখুন। বাইরে থেকে এসে হাত-মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা। এ ছাড়া খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুতে হবে।

✅ বয়স ছয় মাসের কম এমন শিশু যদি বুকের দুধ পান করে, তবে সে নিউমোনিয়ার জীবাণু অনেকটাই প্রতিহত করতে পারবে। যে শিশুর বয়স ছয় মাসের বেশি, তাদের যদি বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার হিসেবে দেশীয় খাবার খাওয়াতে পারেন, তবে খুব ভালো।

✅ এ সময় শিশুর গোসলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। শীতে শিশুদের ডায়াপার ঘন ঘন পরিবর্তন করা উচিত।

নিউমোনিয়ার_চিকিৎসা-
এই রোগের চিকিৎসা সাধারণত নির্ভর করে কী ধরনের নিউমোনিয়া রোগীকে আক্রমণ করছে তার ওপর। তাই ওপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *