পর্ব:৩ শিশুর খাওয়া নিয়ে ভাবনা আর না আর না : শিশুর পরিপূরক খাবার শুরুর মূলনীতি-

ছয় মাস বয়সের পর শিশুকে শক্ত খাবার দিতে গিয়ে বেশির ভাগ মা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কি খাওয়াবেন? কিভাবে খাওয়াবেন? সঠিক নিয়ম জেনে না খাওয়ানোর ফলে অনেকে কিছুদিন চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দেন। আবার অনেক মা বাচ্চা যথেষ্ট বুকের দুধ পাচ্ছে মনে করে ছয় মাস পরে ও শুধু বুকের দুধই খাওয়ান। শক্ত খাবার শুরু করেন অনেক দেরিতে।

আসলে বুকের দুধের সাথে সাথে শক্ত খাবার শুরু করা এবং তাতে বাচ্চাকে অভ্যস্ত করার মূলনীতি কি আসুন জেনে নেই।

বাচ্চা বুকের দুধ যথেষ্ট পেলে কি ছয় মাসের পরও শুধু বুকের দুধ চালিয়ে যাওয়া যাবে? এক কথায় উত্তর “না”। কারণ ছয় মাস পর হতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় বহুমুখী পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে বুকের দুধ যথেষ্ট নয়।এই সময় শুধু বুকের দুধ খাওয়ালে শিশুর পেট হয়তো ভরবে , কিন্তু পূষ্টির ঘাটতি থেকে যাবে। ফলে শিশুর রক্তশূন্যতা হবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হবে । দীর্ঘমেয়াদি ফল হিসেবে শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হবে । তাই ছয় মাস বয়সের পর থেকে ধীরে ধীরে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য শক্ত খাবার অতি অবশ্যই শুরু করতে হবে।

এবার শক্ত খাবার শুরু করার পালা। একটু ভাবুন, আমরা সারা জীবন যে ধরণের জীবন যাপনে অভ্যস্ত, তার চেয়ে ভিন্ন কিছুতে আমাদের ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে হয়। সারা জীবন দুধ খেয়ে অভ্যস্ত ছয় মাস বয়সী একটা শিশুও স্বাভাবিক ভাবেই অন্য খাবার নিতে একটু সময় নিবে।প্রথম দিকে একদম না ও নিতে পারে।এই সময় জোর জবরদস্তি করে খাওয়ানোর চেষ্টা করলে শিশুর খাবার এর প্রতি দীর্ঘস্থায়ী বিরক্তি বা অনীহা তৈরীর সম্ভাবনা থাকে।আবার বাচ্চা খেতে চায়না ভেবে হাল ছেড়ে দিলে সে বুকের দুধে আরো বেশি অভ্যস্ত হয়ে যাবে। পরবর্তীতে তাকে শক্ত খাবার খাওয়ানো আরো কঠিন হয়ে পড়বে।তাহলে করণীয় কী? ধীরে ধীরে অনেকটা খেলাছলে তাকে দুধ থেকে প্রতিদিন একটু একটু করে অন্যান্য খাবারে আকৃষ্ট করতে হবে।কী ধরণের খাবার দিয়ে কীভাবে শুরু করতে হবে, এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করবো খুব শীঘ্রই।

. শক্ত খাবার খাওয়ানোর শুরুতে
. জোর জবরদস্তি নয়,
. খেলাছলে আনন্দের সাথে
. হোক নতুন খাবার এর সাথে পরিচয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *